বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:০১ পূর্বাহ্ন
ঠাকুরগাঁও থেকে॥
তৃতীয় শ্রেণীর শিশু শিক্ষার্থী সুমনা হকের (৯) হত্যার বিচারের দাবিতে আবরো সড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা সহ বিভিন্ন স্থরের জনতা।
শনিবার দুপুরে জেলার বড় মাঠ প্রাঙ্গণ থেকে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় হাজারো শিক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভ মিছিলটি বের করে।
মিছিলটি বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌরাস্তা মোড়ে এসে সড়ক অবরোধ করে এক মানববন্ধনে মিলিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী,অভিভাবক সহ জেলা বিভিন্ন স্তরের জনতা অংশ নেয়।
এসময় শিশু সুমনা হককে হত্যাকারী রিয়াজ আহম্মেদ কাননেন কঠোর শাস্তির দাবী করে সকলেই নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকে। ঘন্টাব্যাপী এই বিক্ষোভে সড়কের দুইপাশেই যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে চৌড়াস্তা মোড়ে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সালেহা খাতুন, প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মনতোষ কুমার দে সহ জেলার বিভিন্ন স্তরের জনতা।
এসময় বক্তরা বলেন, সুমনা হকের হত্যাকারী রিয়াজ আহম্মেদ কাননের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। সেই সাথে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তেরও দাবি যানান তারা। পরে জেলা প্রশাসক ড.কেএম কামরুজ্জামান সেলিমের আশ্বাসে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করেন বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে জেলা শহরের গোয়ালপাড়া এলাকায় স্কুলছাত্র রিয়াজ আহম্মেদ কাননের বসতঘরের মাটি খুঁড়ে সুমনা হকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সুমনা হক গোয়ালপাড়া এলাকার জুয়েলের মেয়ে। সে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী ছিলো। রিয়াজ আহম্মেদ কানন একই এলাকার ইয়াসিন হাবীব কাননের ছেলে। সে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি আশিকুর রহমান জানান, সুমনা হক গত ১৬ ডিসেম্বর নিজ এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা থানায় একটি জিডি করেন। মেয়ের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় পাশের বাসায় খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সুমনা। এরপর থেকে প্রতিবেশী ইয়াসিন হাবীব কানন ও তার ছেলে রিয়াজের ওপর নজরদারি শুরু হয়।
পরে বৃহস্পতিবার রাতে রিয়াজকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার বিষয়টি সে স্বীকার করে। তার দেওয়া তথ্যমতে তার বসতঘরের মাটি খুঁড়ে সুমনার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।